সবারই স্বপ্ন থাকে বড় হয়ে একটি সন্মানজনক পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে ক্যারিয়ারকে উজ্জল করার। বাংলাদেশে যতগুলো আত্মনির্ভরকেন্দ্রিক ও সম্মান...
সবারই স্বপ্ন থাকে বড় হয়ে একটি সন্মানজনক পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে ক্যারিয়ারকে উজ্জল করার। বাংলাদেশে যতগুলো আত্মনির্ভরকেন্দ্রিক ও সম্মানজনক পেশা রয়েছে তার মধ্যে আইন পেশা হলো সবার পরিচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এই পেশাকে রয়্যাল বা রাজকীয় পেশাও বলা হয়ে থাকে।শতাব্দীর পর শতাব্দী আইন পেশা স্বীকৃত হয়ে আসছে সম্মান ও ঐতিহ্যের পেশা হিসেবে। এ পেশায় এসে একজন ব্যক্তি যেমন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন, তেমনি সমাজে সবার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করারও সুযোগ পেয়ে থাকেন। সমাজ গঠনে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখার জন্য আইনজীবীদেরকে সোস্যাল ডক্টর বা সামাজিক ডাক্তার হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।এই পেশার গুরুত্ব অনুধাবন করে বর্তমান প্রজন্মের এই পেশায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আইনজীবী হওয়ার যে স্বপ্ন নিয়ে একজন তরুণ বা তরুণী আইন পড়া শেষে আদালত অঙ্গনে পা রাখে, কঠিন বাস্তবতার চোরাবালিতে সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে বিলীন হতে থাকে।আশানুরুপ ফল না পাওয়ায় হতাশা আর ধৈর্য্যহারা হয়ে ছিটকে পড়েন এই পেশা থেকে। এর পিছনে ছোট বড় অনেকগুলো কারণ থাকলেও মূলতঃ আদালত পাড়ায় এসে কি করবো, কিভাবে করবো, কোথা থেকে শুরু করবো ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে দ্বিধা দ্বন্বে পড়ে যাওয়াও অন্যতম একটি কারণ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজগুলোতে আইনের তাত্ত্বিক বিষয়ের উপর শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালত পাড়ায় ওকালতি জীবন শুরু করতে এসে সবকিছু নতুন মনে হয়।কারণ এখানে তাত্তিক জ্ঞানের চেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে ব্যবহারিক জ্ঞানের যেটি বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজগুলোতে শেখানো হয় না।তাই বর্তমান প্রজন্ম আইনজীবী হওয়ার যে মহৎ স্বপ্ন নিয়ে আদালত পাড়ায় পা রাখে তাদের সেই মহৎ স্বপ্ন পূরণে নিবিঘ্নে কাজ করে যেতে পারে সে জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র আয়োজন। আমি চেষ্টা করবো এই লেখার মাধ্যমে আদালতের ব্যবহারিক কাজগুলো এমনভাবে শিখিয়ে দেওয়ার যেন সবার মনে হয় যে তারা হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
গত পর্বে আমরা শিখেছিলাম একটি ফৌজদারি মামলা কিভাবে দায়ের করতে হয়। যারা পড়েননি তারা উক্ত পোস্টটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আজ আমরা একটি দেওয়ানী মামলা কিভাবে দায়ের করতে হয় সে বিষয়ে শিখবো। সি. আর. মামলা প্রস্তুতের তুলনায় দেওয়ানী মামলা প্রস্তুত করা একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবুও আমরা আজ খুব সহজেই একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করা শিখবো।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ফটোকপি করা
আপনার সিনিয়র মামলা লিখে মামলার মুল আরজিটি কার্টিজ পেপারে প্রিন্ট দিবেন।এরপর প্রিন্টেড আরজিটি আপনার হাতে দিয়ে মামলাটি দায়ের করার গুরু দায়িত্বটি দিবেন। আপনাকে সাবধানতার সাথে কাজগুলি সম্পন্ন করতে হবে।মুল আরজি এবং মামলার সাক্ষ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর আপনার প্রথম কাজ হবে ফটোকপি করা। এক্ষেত্রে মামলায় যতজনকে বিবাদী করা হয়েছে প্রত্যেক বিবাদীর জন্য মুল আরজির এক সেট ফটোকপি করতে হবে।অর্থাৎ মামলায় যদি ১০ জনকে বিবাদী করা হয় তাহলে আপনাকে মুল আরজিটির ১০ সেট ফটোকপি করতে হবে এবং এ ছাড়াও অতিরিক্ত আরও দুই সেট ফটোকপি করতে হবে চেম্বারের ফাইলে রাখার জন্য এবং মক্কেলকে একসেট প্রদানের জন্য। এছাড়া সাক্ষ্য সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রের দুই সেট ফটোকপি করতে হবে।সাক্ষ্য সংক্রান্ত কাগজপত্রের দুই সেট ফটোকপি করতে হয় কারণ এক সেট মামলা দায়েরের সময় আদালতে দাখিল করতে হয় এবং বাকি সেটটি চেম্বারে ফাইলের সাথে রাখতে হয়।
[post_ads]
ওকালতনামা ইত্যাদি ক্রয় করা
এরপর আপনাকে কিছু কেনাকাটা করতে হবে।এক্ষেত্রে কি কি কিনতে হবে তার একটি তালিকা চেম্বারে বসে করে নিতে হবে যাতে করে কিনতে গিয়ে কোন কিছু বাদ না পড়ে যায়। দেওয়ানী মামলা ফাইলের জন্য আপনার দরকার পড়বে -
- একটি ওকালতনামা;
- একটি প্রসেস ফি;
- দুইটি ফিরিস্তি ফর্ম;
- একজন বিবাদীর জন্য তিনটি করে সমন (মনে রাখবেন, দেওয়ানী মামলার সমন এবং ফৌজদারি মামলার সমন এক নয়। এছাড়া পারিবারিক মামলা, জারী মামলা ও মিসকেইসের সমন আলাদা আলাদা হয়) অর্থাৎ আপনাদের মামলায় যদি ১০ জনকে বিবাদী করা হয় তাহলে আপনাকে মোট ৩০ টি সমন কিনতে হবে;
- প্রত্যেক বিবাদীর জন্য একটি করে খাম ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (এডি কার্ড) (মনে রাখবেন, খামের সাথে প্রয়োজন অনুসারে ডাক টিকেট লাগাতে হয়। এটি মামলা দায়েরের সময়ও লাগানো যায় কিংবা পরবর্তীতে ডাক পোস্টের সময়ও লাগানো যায়); এবং
- প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি কিনতে হবে।
আরজি সেলাই করা
দেওয়ানী মামলার ফাইল আসলে একটু মোটা হয়। লেখা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে আপনাকে সকল কাগজপত্র সিরিয়াল অনুযায়ী সাজাতে হবে। এক্ষেত্রে-
তারপরে মুল আরজির উপরে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি লাগাতে হবে।কিন্তু কোর্ট ফি এর পরিমাণ যদি ৩০০ টাকার অধিক হয়ে যায় তাহলে চালানের মাধ্যমে কোর্ট ফি দিতে হয়। কিভাবে চালানের মাধ্যমে কোর্ট ফি উত্তোলন করতে হয় এবং কোর্ট ফির মধ্যে লিখতে হয় সেটা আমরা অন্য পর্বে শিখে নেব।
- প্রথমে মুল আরজি;
- তার নিচে ওকালতনামা;
- ওকালতনামার নিচে প্রসেস ফি;
- প্রসেস ফির নিচে ফিরিস্ত ফর্ম সহ সাক্ষ্য সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্রের ফটোকপি; এবং
- এরপর একজন বিবাদীর জন্য লিখিত তিনটি সমন+আরজির ফটোকপি+এডিসহ খাম এভাবে সবগুলি সমন, আরজির ফটোকপি ও এডিসহ খাম দিতে হয়। মনে রাখবেন, সমন সাজানোর সময় অবশ্যই ক্রমিক অনুসরণ করবেন অর্থাৎ এক নম্বর বিবাদীর সমন আগে ও সর্বশেষ বিবাদীর সমন সর্বশেষে দিয়ে সাজানোর পর আরজির উপরে বামদিকে চারকোনা করে মোটা সুতা দিয়ে সেলাই করতে হবে।
তারপরে মুল আরজির উপরে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি লাগাতে হবে।কিন্তু কোর্ট ফি এর পরিমাণ যদি ৩০০ টাকার অধিক হয়ে যায় তাহলে চালানের মাধ্যমে কোর্ট ফি দিতে হয়। কিভাবে চালানের মাধ্যমে কোর্ট ফি উত্তোলন করতে হয় এবং কোর্ট ফির মধ্যে লিখতে হয় সেটা আমরা অন্য পর্বে শিখে নেব।
আরজি ও ওকালতনামায় স্বাক্ষর
এভাবে সিরিয়ালি সাজানো ্ও বাধাইয়ের পর মুল আরজি ও ওকালনামায় মক্কেলের স্বাক্ষর নিতে হবে।আরজির প্রতি পাতায় পাতায় স্বাক্ষর নিতে হবে। এই স্বাক্ষরটি নিতে হবে প্রথম পাতা সহ প্রতি পাতার উপরে আড়াআাড়িভাবে এবং সর্বশেষ পাতায় নিচের দিকে সত্যপাঠ বলে একটি কথা থাকে। এই সত্যপাঠের উপরে স্বাক্ষর নিতে হবে। অনেকগুলো বাদী থাকলে সত্যপাঠে যেকোন একজনের স্বাক্ষর নিলেই চলে।এছাড়া ওকালতনামার প্রথম পাতায় উপরে আাড়াআড়িভাবে মক্কেলের সাক্ষর নিতে হবে। সাক্ষর করতে অপারগ হলে টিপসহি নিতে হবে।এর পর স্বাক্ষরের জন্য সিনিয়রের কাছে আরজিটি দিতে হবে। সিনিয়র আরজি এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য স্থানে স্বাক্ষর পূর্বক আপনাকে ফেরত দিবেন।
[post_ads_2]
আরজি সংশ্লিষ্ট সেরেস্তাদারের নিকট দাখিল করা
আপনাদের মামলা যে আদালতে দায়ের করতে হবে সেই আদালতের সেরেস্তাদারের নিকট আরজিসমেত সকল কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। সব ঠিক ঠাক থাকলে সেরেস্তাদার স্বাক্ষরপূর্বক আপনাকে তা ফেরত দিবেন। এবার আরজিটি নিয়ে আপনাকে সংশ্লিষ্ট এজলাসে যেতে হবে। এজলাসে দায়িত্বরত পিয়নের কাছে আরজিটি দাখিল করলে সংশ্লিষ্ট পিয়ন মামলায় দাখিলকৃত সকল কোর্ট্ ফি আদালতে রক্ষিত কোর্ট ফি রেজিষ্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে কোর্ট ফি ছিদ্র করে দিবেন এবং আরজি ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্রে আদালতের সীল লাগিয়ে আরজিটি আপনাকে ফেরত দিবেন।আপনাকে আরজিটি পিয়নের নিকট থেকে নিয়ে পূনরায় সেরেস্তায় গিয়ে সেরেস্তাদারের নিকট দাখিল করতে হবে। এরপর সেরেস্তাদার পূনরায় দেখে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মামলাটি স্যু্ট রেজিষ্ট্রারে লিপিবদ্ধ করবেন।এ সময় আপনাদের মামলার একটি নম্বর ও পরবর্তী তারিখ দিবেন। আপনার কাজ হবে উক্ত নম্বর ও পরবর্তী ধার্য তারিখ নোট করে নিয়ে আপনাদের চেম্বারের ডায়েরীতে তা লিখে রাখা।
অভিন্দন! আপনি আজ খুব সহজেই একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে ফেললেন। এখন নিশ্চয় অনেকটা সহজ হয়েছে বিষয়টা আপনার কাছে।আর কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে নিচে মন্তব্যের ঘরে জানাবেন।পরবর্তীতে আমরা কার্যকরী অন্য কোন বিষয় শিখবো ইনশাআল্লাহ।
- [accordion]
- লেখক সম্পর্কে জানুন
- পোস্টটি লিখেছেন- [ মোঃ আজাদুর রহমান ##pencil##] তিনি টকেটিভ বাংলার এডমিন ও সম্পাদক। পেশাগত জীবনে তিনি আইনজীবী হিসেবে ঢাকা জজ কোর্টে কর্মরত আছেন।
- সাধারণ নোটিশ
- টকেটিভ বাংলা ব্লগের সকল সম্মানিত লেখককে এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, অত্র ব্লগে কোন ধরণের কাট-কপি-পেস্ট লেখা প্রকাশ করা হবে না। কোন লেখা কাট-কপি-পেস্ট প্রমাণিত হলে ঐ লেখা কোন ধরণের পূর্ব নোটিশ ছাড়াই মুছে দেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট লেখকের কোন পোস্ট পরবর্তীতে অত্র ব্লগে প্রকাশ করা হবে না।
- লিখুন এবং উপার্জন করুন
- টকেটিভ বাংলায় আপনাকে স্বাগতম! টকেটিভ বাংলায় মান সম্মত লেখা জমা দিয়ে খুব সহজেই আয় করতে পারেন। টকেটিভ বাংলা বিশ্বাস করে প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই মেধা রয়েছে। এখন প্রয়োজন হলো সেই মেধার বিকাশ ঘটানো। মেধাকে লুক্কায়িত না রেখে বিশ্বের মাঝে ছড়িয়ে দিলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও কল্যাণ হবে। টকেটিভ বাংলা মেধা বিকাশের সেই সুযোগটিই করে দিচ্ছে। পাশাপাশি লেখকদের নিজের পরিচিত বাড়িয়ে তোলা ও প্রতি কন্টেন্টের জন্য টাকা উপার্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে। তাই আপনার মাথায় যদি গিজগিজ করে নিত্যনতুন আইডিয়া, চিন্তা, চেতনা তাহলে ঝড় তুলুন কী-বোর্ডে।
টকেটিভ বাংলা থেকে আয় করতে হলে নিচের শর্তাবলী মেনে চলতে হবে-
১। আপনাকে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিতে হবে এবং নিজের প্রোফাইল থেকে কমপক্ষে ১০০ জন ফেসবুক ফ্রেন্ডকে আমাদের ফেসবুক পেইজের (টকেটিভ বাংলা) ইনভাইটেশন পাঠাতে হবে। (বাধ্যতামূলক না তবে এর মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তুলে ধরতে পারবো)।
২। এরপর সাইটে ভিজিট করে কম পক্ষে ৫ টি লেখা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করতে হবে ও সেগুলোতে গঠন মূলক কমেন্ট করতে হবে। (বাধ্যতামূলক না, তবে এর মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তুলে ধরতে পারর। আর এই ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কাম্য।)
৩। প্রথমে টকেটিভ বাংলা সাইট টি ভিজিট করে আমাদের প্রকাশিত কন্টেন্ট সম্পর্কে আইডিয়া নিতে হবে। এরপর ৫০০-৭০০ শব্দের ১টি সম্পূর্ণ মৌলিক, কপি-পেস্ট বিহীন কন্টেন্ট আমাদের ওয়েবসাইটে পাঠাতে হহবে। লেখাটির মান ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা স্বাপেক্ষে প্রকাশিত হবে। কোন লেখা কপি-পেস্ট বলে প্রমাণিত হলে তাকে টকেটিভ বাংলা থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে। প্রথম কন্টেন্ট যাচাইয়ের জন্য নেয়া হবে। লেখার বিষয়বস্তু আপনি নিজে পছন্দ করতে পারবেন।
৪। ২য় লেখা থেকে আপনি পেমেন্টের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। লেখার মান অনুযায়ী প্রতি লেখার জন্য ৫০ টাকা পাবেন এবং ১০ টি লেখা পেমেন্ট এর জন্য বিবেচিত না হওয়া পর্যন্ত পেমেন্ট এর জন্য অনুরোধ করতে পারবেন না। কোন পোস্ট প্রকাশিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নূন্যতম ১০ টি পজিটিভ ভোট প্রাপ্ত না হলে উক্ত পোস্ট পেমেন্ট এর জন্য বিবেচিত হবে না। বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট প্রদান করা হবে।
৫। এছাড়া একজন নিয়মিত লেখককে টকেটিভ বাংলায় প্রকাশিত নিজের লেখা+অন্য লেখাদের কমপক্ষে ৪ টা লেখা সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুকে শেয়ার দিতে হবে। তাছাড়া ওয়েব সাইটে নিয়মিত গঠনমুলক মন্তব্য করতে হবে।
৬। দেশের প্রচলিত আইনের বিরোধী, কোন বিশেষ ধর্ম, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অথবা দেশকে কটাক্ষ করে কিছু লেখা যাবে না। এ ধরণের লেখা প্রকাশিত হবে না।
৭। একটি পোস্ট নূন্যতম ৫০০ শব্দের না হলে সেই পোস্ট পেমেন্ট পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে না।
৮। কোন কবিতার ক্ষেত্রে সর্ব নিম্ন ১৪ লাইনের কবিতা না হলে এবং নূন্যতম ১৪ টি পজিটিভ ভোট ও ১৪ টি মন্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত উক্ত কবিতা পেমেন্ট এর জন্য মনোনীত হবে না।
৯। কোন কপি, পেস্ট করা পোস্ট বা ভুল তথ্য সম্বলিত পোস্ট পেমেন্ট পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে না।
১০। টকেটিভ বাংলা ব্লগে লেখার নিয়ম, নীতিমালা ও শর্তাবলী বহির্ভূত কোন পোস্ট পেমেন্ট পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে না। (টকেটিভ বাংলা ব্লগের নীতিমালা ও শর্তাবলী)১১। পোস্টে অন্য কোথাও থেকে উদ্বৃতি দিতে হলে অবশ্যই রেফারেন্সসহ দিতে হবে।
১২। একজন লেখকের নূন্যতম ১০টি পোস্ট পেমেন্ট এর জন্য মনোনীত হলেই কেবল তিনি “রিওয়ার্ড ক্লেইম ফর্ম” পূরণ করে টকেটিভ বাংলা কর্তৃপক্ষের নিকট পেমেন্ট এর জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।
১৩। একজন লেখক পেমেন্ট পাওয়ার যোগ্য হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে “রিওয়ার্ড ক্লেইম ফর্ম” পূরণ করে টকেটিভ বাংলা কর্তৃপক্ষের নিকট পেমেন্ট এর দাবি না করলে তার সমস্ত পেমেন্ট বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৪। কোন পোস্ট টকেটিভ বাংলায় জমা দেওয়ার সময় ৫ সংখ্যার একটি ইউনিক কোড এবং জন্ম তারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করতে হবে। এই ইউনিক কোডটি প্রতিটি পোস্টের ক্ষেত্রে সব সময় একই থাকবে। পৃথক পৃথক পোস্টের জন্য পৃথক পৃথক ইউনিক কোড ব্যবহার করা যাবেনা। এই ইউনিক কোডটি লেখককে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ পেমেন্ট ক্লেইম করার সময় এই ইউনিক কোডটি প্রয়োজন হবে। ইউনিক কোডটি অন্যের নিকট শেয়ার করা যাবে না।
১৫। উপরের সকল শর্তাবলীর কোন একটি না মানলেও পোস্টটি প্রকাশিত হতে পারে। তবে সেই পোস্টটি পেমেন্ট এর জন্য মনোনীত হবে না।
সাইটের বিষয়ে লেখক ও পাঠকদের যেকোন গঠনমূলক সমালোচনা, মতামত সাদরে গৃহীত হবে। এ সাইট আপনাদের, একে এগিয়ে নেবার দায়িত্ব আপনাদেরই।
বিঃদ্রঃ পূর্ব নোটিশ ছাড়াই উপরোক্ত শর্তাবলী যেকোন সময় টকেটিভ বাংলা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংশোধিত, পরিবর্তিত বা সংযোজিত হতে পারে। - আমাদের কথা
- অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং অনেক জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই বাংলা। পেয়েছি বাংলা ভাষা। তাই বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ হৃদয়ের গভীর থেকে। আমরা আবেগ-অনুভূতি-চিন্তা-চেতনায় ক্রমাগত মাটির গন্ধ খুঁজে বেড়াই। গন্ধ খুঁজে পার্থক্য করি বেলে-দোআঁশ-কাঁদা-পলি মাটি। এই মাটির সোঁদা গন্ধে আমাদের বেড়ে ওঠা। আমাদের কণ্ঠ মাটির কথা বলে, আমাদের কণ্ঠ এই মাটির সবুজ প্রকৃতির কথা বলে, আমাদের কণ্ঠ মাটিকে ভালবাসতে বলে। আমরা লালন করি একুশের চেতনা, আমরা লালন করি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ধর্ষিতা বোনের শাড়ি আমাদের পবিত্র স্মৃতি। ৩০ লক্ষ শহীদ আমাদের পথের দিশারী। তাঁদের অসমাপ্ত পথ সমাপ্ত করার জন্য আমাদের জন্ম। লাল সবুজের পতাকার প্রতি আমরা সদা অবনত। আমরা নিরপেক্ষ নই আমরা অসুন্দরের বিপক্ষ শক্তি, অন্যায়ের বিপক্ষ শক্তি, স্বাধীনতার শত্রুদের বিপক্ষ শক্তি। আমরা প্রগতির পক্ষে, আমরা অন্ধ গোঁড়ামির বিপক্ষে। আমরা গল্প করবো, আড্ডা দেব, তর্ক করবো, বিতর্ক করবো। আমরা প্রস্তাব দেব, আলোচনা করবো। আমরা যুক্তির কথা বলবো, আমরা গণমানুষের মুক্তির কথা বলবো।
তবে সবই হবে বাংলায়, একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে। আমরা স্বাধীনভাবে বলবো কিন্তু বাধাহীনভাবে নয়। আমরা সত্যের সন্ধানে দান্দিক হবো। বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো। এই মাটির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পালনে দৃঢ় থাকবো। আমরা কোনো কর্তৃপক্ষ নই, এই বাংলার প্রতিটি মানুষের সুন্দর স্বপ্ন নিয়েই আমরা। চর্যাপদের বুভুক্ষু পা আমরা, সুকান্ত’র চাঁদে ঝলসানো রুটি খোঁজা মানুষ আমরা। আমরা জসিম উদ্দিনের নকশী কাথার মাঠ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কারিগর আমরা। হাজার বছরের বাঙালিয়ানা নিয়ে আমাদের পথ চলা। শুভ হোক ব্লগীং।
COMMENTS